পুনরায় ক্ষমতায় আসলে দেশের প্রত্যেক অঞ্চলে স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে বিএনপি
- প্রকাশকাল ০৫:৪৬:১২ পিএম, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
- / ৪৮ পাঠক
চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের গ্র্যান্ড ফাইনালের আগে অতিথিরা বেলুন ওড়ান
বাংলাদেশে স্পোর্টসকে অর্থনীতির অংশ হিসেবে কখনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, স্পোর্টস যে অর্থনীতিতে কত বড় অবদান রাখতে পারে, তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন ব্রাজিল ও অস্ট্রেলিয়া প্রমাণ করেছে। তাদের জিডিপির বড় অংশই স্পোর্টস থেকে আসে। তাই স্পোর্টসের উন্নয়ন কেবল ক্রীড়াঙ্গনকে নয়, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আজ ২৪ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় এবং জাতীয়তাবাদী ক্রীড়া দলের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টে গতকাল চারটি দল অংশগ্রহণ করে।
প্রথম খেলায় লাল দল এবং নীল দল অংশ নেন। নীল দল ১–০ গোলে জয়লাভ করে। দ্বিতীয় খেলায় হলুদ দল এবং সবুজ দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। হলুদ দল ১–০ গোলে জয়লাভ করে। পরে হলুদ এবং নীল দলের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলা গোলশূন্য অমীমাংসিত থাকে। পরে টাইব্রেকারে হলুদ দলকে হারিয়ে সাব্বিরের নীল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির, আলফাজ, জাহেদ পারভেজ ও সুজন চারটি দলের নেতৃত্ব দেন।
পরে প্রধান অতিথি বিজয়ী দলের খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। আমীর খসরু আরও বলেন, তারেক রহমানের ভাবনায় দেশের প্রত্যেক অঞ্চলে স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এসব কমপ্লেক্সে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি সহ বিভিন্ন খেলার সুযোগ থাকবে এবং যেখানে যেখানে যোগ্যতা আছে, সবাই নিজের পছন্দমতো অংশগ্রহণ করতে পারবে। এর মাধ্যমে আগামীর ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃত্বও গড়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, স্পোর্টস কমপ্লেক্সগুলোতে চাকরিরও সুযোগ থাকবে। প্রতিটি কমপ্লেক্সে ট্রেনারসহ বিভিন্ন পদে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়া একটি বিশেষ স্পোর্টস চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্বশেষ খবর ও অনুষ্ঠান সহজে সবাই উপভোগ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, স্পোর্টস কেবল স্বাস্থ্য ও বিনোদন নয়, এটি দেশের সফট পাওয়ার হিসেবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিও তুলে ধরবে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো আমরা চাই স্পোর্টসের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করতে। আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, জাতীয়তাবাদী ক্রীড়া দলের নেতৃত্বে আমিনুল হক দায়িত্ব পালন করছেন এবং তার ওপর দলের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
দলের মধ্যে ফুটবলার, ক্রিকেটার, দাবাড়ু, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, হাডুডু, কাবাডিসহ বিভিন্ন ইভেন্টের খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত আছেন। আমীর খসরু আশা প্রকাশ করেন, স্পোর্টসের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়া ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন সাফজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো. শরীফুল আলম, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারনুর রশীদ হারুন, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ উল্লাহ, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব সৈয়দ আমিনুল হক দেওয়ান সজল, জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও প্রচার কমিটির আহবায়ক ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ইদ্রিস মিয়া, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিডিয়া কমিটির আহবায়ক বিপ্লব দে পার্থ।

















