ঢাকা ০১:৪১ পিএম, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সোনারগাঁ গঙ্গাবাসী ও রাম চন্দ্র পোদ্দার (জি.আর) ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ১২৫ বছর পূর্তি উদযাপন নারায়ণগঞ্জের নতুন ডিসি হলেন রায়হান কবির নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ৩৭ জন গ্রেফতার মুক্তি মিলছে না আইভীর, নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ নাশকতার পরিকল্পনা : রুপগঞ্জ থেকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৪ কর্মী গ্রেফতার সংস্কারপন্থী শক্তির সাথে জোট করতে প্রস্তুত এনসিপি: হাসনাত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহর বাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলা – গুলি ডাকাত সন্দেহে আড়াইহাজারে গণপিটুনি, ২ জন আহত রূপগঞ্জে বিএনপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়ার গণমিছিল

গাজার খান ইউনুসে গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নারায়ণগঞ্জ-
  • প্রকাশকাল ০৯:১৯:২৩ পিএম, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪৪ পাঠক

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী শুক্রবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুস ও এর আশপাশের এলাকায় ধারাবাহিক বিমান ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার মাঠ পর্যায়ের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন। এই হামলা একটি নাজুক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
খান ইউনুস, যা গাজা উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর কেন্দ্র, তার পূর্ব প্রান্তে হামলাগুলো কেন্দ্রীভূত ছিল। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনুসের পূর্বে অবস্থিত বানি সুহাইলা শহরের উপকণ্ঠে ভারী গোলাবর্ষণ চালানো হয়েছে এবং একই সঙ্গে এলাকাটিতে বিমান হামলাও হয়েছে।

এই হামলাগুলো ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রায় এক মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির সময় সবচেয়ে বড় ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি নির্দেশ করছে। যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অক্টোবরের শুরু থেকে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ২৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সর্বশেষ হামলাগুলো নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। খান ইউনুসে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। সাধারণত, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এসব অভিযানের ব্যাখ্যায় বলে থাকে যে, সেগুলো “সন্ত্রাসী অবকাঠামো” লক্ষ্য করে বা “নিরাপত্তা হুমকির” প্রতিক্রিয়ায় পরিচালিত হয়েছে।

অবিরত সহিংসতা যুদ্ধবিরতির ভঙ্গুরতা ও গভীরমূলক উত্তেজনাকে প্রকাশ করে। দক্ষিণাঞ্চলে এই হামলাগুলো এমন এক ধারা অনুসরণ করছে যেখানে ছোটখাটো অভিযান ও বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ যুদ্ধবিরতির মধ্যেও চলতে থাকে, ফলে গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার জন্য স্বাভাবিক জীবনে ফেরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার গাজার সাধারণ জনগণের উপর চলমান সংঘাতের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এরইমধ্যে তারা তীব্র অর্থনৈতিক অবরোধ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামোর মধ্যে জীবনযাপন করছে।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত খান ইউনুস ও তার আশপাশের এলাকায় সর্বশেষ হামলায় হতাহতের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং বাসিন্দারা আরো সহিংসতা আশঙ্কা করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সংবাদটিশেয়ার করুন

গাজার খান ইউনুসে গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালালো ইসরায়েল

প্রকাশকাল ০৯:১৯:২৩ পিএম, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী শুক্রবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুস ও এর আশপাশের এলাকায় ধারাবাহিক বিমান ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার মাঠ পর্যায়ের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন। এই হামলা একটি নাজুক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
খান ইউনুস, যা গাজা উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর কেন্দ্র, তার পূর্ব প্রান্তে হামলাগুলো কেন্দ্রীভূত ছিল। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান ইউনুসের পূর্বে অবস্থিত বানি সুহাইলা শহরের উপকণ্ঠে ভারী গোলাবর্ষণ চালানো হয়েছে এবং একই সঙ্গে এলাকাটিতে বিমান হামলাও হয়েছে।

এই হামলাগুলো ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রায় এক মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির সময় সবচেয়ে বড় ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি নির্দেশ করছে। যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অক্টোবরের শুরু থেকে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ২৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সর্বশেষ হামলাগুলো নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। খান ইউনুসে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। সাধারণত, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এসব অভিযানের ব্যাখ্যায় বলে থাকে যে, সেগুলো “সন্ত্রাসী অবকাঠামো” লক্ষ্য করে বা “নিরাপত্তা হুমকির” প্রতিক্রিয়ায় পরিচালিত হয়েছে।

অবিরত সহিংসতা যুদ্ধবিরতির ভঙ্গুরতা ও গভীরমূলক উত্তেজনাকে প্রকাশ করে। দক্ষিণাঞ্চলে এই হামলাগুলো এমন এক ধারা অনুসরণ করছে যেখানে ছোটখাটো অভিযান ও বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ যুদ্ধবিরতির মধ্যেও চলতে থাকে, ফলে গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার জন্য স্বাভাবিক জীবনে ফেরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার গাজার সাধারণ জনগণের উপর চলমান সংঘাতের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এরইমধ্যে তারা তীব্র অর্থনৈতিক অবরোধ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামোর মধ্যে জীবনযাপন করছে।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত খান ইউনুস ও তার আশপাশের এলাকায় সর্বশেষ হামলায় হতাহতের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি। পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং বাসিন্দারা আরো সহিংসতা আশঙ্কা করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।